ভোলার মনপুরায় নৌকায় ভোট দিয়ে বিপাকে দুই শতাধিক পরিবার
স্টাফ রিপোটার//
ভোলার মনপুরায় নৌকায় ভোট দিয়ে বিপাকে পরেছে দুই শতাধিক পরিবার। আনারস প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান হয়ে এ পরিবারগুলোর ভিজিডি কার্ডের চাল বন্ধ করে দিয়েছে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে। উপরন্তু তাদের কাছ থেকে কার্ডগুলো নিয়ে এসব চাল ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে আত্নসাৎ করছেন চেয়ারমম্যান। ঘটনারটি মনপুরা উপজেলার ২নং হাজিরহাট ইউনিয়নের। এনিয়ে মানব বন্ধন করেছে ভুক্তভূগী পরিবারগুলো।
ভুক্তভূগী পরিবারগুলোর অভিযোগের ভিত্তিতে জানযায়, সরকারের দ্বীতিয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনপুরা উপজেলার ২নং হাজিরহাট ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শাহরিয়ার কবির দীপক চৌধুরীর বিপক্ষে বিজয় লাভ করে বিদ্রোহী প্রার্থী আনারশ প্রতীকের মোঃ নিজাম উদ্দিন। নিজাম উদ্দিন দায়িত্বভার গ্রহনের পর তার প্রতীপক্ষ নৌকার পক্ষের প্রায় দুইশাতাধীক পরিবারের ভিজিডি কার্ডের চাল বন্ধ করে দেয়। সচিবের মাধ্যমে তাদের কার্ড জমা নিয়ে নানা অজুহাতে দীর্ঘ পাাঁচ মাস ধরে এসব পরিবারগুেেলার চাল দেয়া বন্ধ করে দেয় চেয়ারম্যান। ভূক্তভূগী ৫নং ওয়ার্ডের দাসেরহাট গ্রামের বাসিন্দা শাহেদ আলীর স্ত্রী শারমিন বেগম, ১নং ওয়ার্ডের সোনার চর গ্রামের বাসিন্দা ইমাম হোসেনের স্ত্রী শিরিনা আক্তার, ৪নং ওয়ার্ডের কুলসুম, ১নং ওয়ার্ডের জোসনা রাণী দাস, ৭নং ওয়ার্ডের আকলিমা আক্তার, ৮নং ওয়ার্ডের ইয়াসনুর বেগম, ৯নং ওডার্ডের বিবি হোসনেয়ারা, ৮নং ওয়ার্ডের হাসিনা বেগম, ৯নং ওয়ার্ডের জিন্নাতারা জানান আামরা আগের চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী থাকতেই চাল পেয়ে আসছি। কিন্তু এ নিজাম চেয়ারম্যান আসার পর থেকে আমরা নৌকায় ভোট দিয়েছি এ জন্য আমাদের কার্ডগুলো নিয়ে চাল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। নৌকায় ভোট দেয়া ছাড়া আমাদের আর কোন অপরাধ নেই। এ নিয়ে আমরা তার কাছে গেলে বলে আমাদের অনেক সমস্যা। সমস্যা হলে আগে চাল পেলাম কিভাবে? আমাদের কার্ডে সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও ইউএনওর স্বাক্ষর রয়েছে। এ কার্ডে সমস্যা থাকে বিভাবে? এ ইউনিয়নে প্রায় ৮০৮টি পরিবারকে ভিজিডি কার্ডের আওতায়। যারা ৩০ কেজি করে চাল পেয়ে আসছে। চেয়ারম্যান এসব পরিবারের চালগুলো সচিবের ভূয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে নিজেই আত্মসাৎ করেছে এমর অভিযোগও তাদের। এ ব্যাপারে ইউনিয়নটির নবনির্বাচিত চেয়াম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা সাবেক মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। অধিকাংশ কার্ডের নামের সাথে অনলাইন তালিকায় গড়মিল থাকার কারণে ওই সকল কার্ড জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই বাছাই করে প্রকৃত কার্ডধারী লোককেই চাল দেয়া হবে বলে তিনি জানান। তবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোঃ শামিম মিঞা (ভারপ্রাপ্ত) জানান, বিষয়টি আমার নখদর্পনে এসেছে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ করেনি। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখে কোন ধরনের অনিয়ম খুজে পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।