সামু’র চ্যালেঞ্জ–চাঁদাবাজির প্রমানে কাউন্সিলরী ছেড়ে দিব।

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২১

এম লোকমান হোসেন//

ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বারবারের  কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, চাঁদাবাজি করি প্রমান করতে পারলে কাউন্সিলর পদথেকে পদত্যাগ করবো। চরফ্যাশন পৌরসভার কলেজ পাড়াস্থ ৪ নং ওয়ার্ডে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে সাবেক কমিশনার বসুন্ধরা জয়নাল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কর্তৃক হামলার শিকার হন বলে জানান কাউন্সিলর সামু। ৩০ জুন বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে বসুন্ধরা জয়নাল ও তার স্ত্রী চাদাচাজির অভিযোগ সহ নানা রকম অপপ্রচার করছে,তাই তিনি রাত ৯ টায় তার বাসভবনে তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলন করেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের নিকট তিনি লিখিত বক্তৃতায় বলেন,আমি চরফ্যাশন ও মনপুরার উন্নয়নের মহানায়ক আবদুল্লাহ আল ইসলা জ্যাকবের দেওয়া দায়িত্ব ও পৌরবাসী যে কারনে চতুর্থ বার আমাকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছে সে কাজই করছি,আপনারা জানেন প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তাঘাট পরিষ্কার, বাজার মনিটরিং সহ পৌরবাসীর খেদমতে ব্যাস্ত থাকি প্রতিনিয়ত।

ঘটনার দিন জয়নাল মিয়ার প্রতিবেশী কমরেড শাহজাহানের স্ত্রী, চরফ্যাশন সরকারি কলেজের প্রভাষক মহিউদ্দিন,আমিনাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আমিন ব্যাংক কর্মকর্তা কামাল হোসেন আমাকে জানান যে জয়নাল মিয়া জোড়পুর্বক অন্যের যায়গায় ইমারত নির্মান করতেছে।অন্যের জমি দখল করার অভিযোগে তাকে ৬ নং ওয়ার্ড থেকে বিতাড়িত করে ঐ এলাকার জনগন ৫ নং ওয়ার্ডে প্রেরণ করলে ৫ নং ওয়ার্ডে ও সকল প্রতিবেশীর সাথে এহেন অত্যাচার করতে থাকে।৫ নং ওয়ার্ডে টিকতে না পেরে পৌরসভার ক্রিম ওয়ার্ড নামে পরিচিত ৪ নং ওয়ার্ডে এসে বসবাস করতে থাকে।এই ওয়ার্ডে এসে তার প্রতিবেশীদের সাথে শুরু করে ঝগড়া বিবাদ যা উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র থেকে সকলেই জানে। আমি অভিযোগ তদন্তে গিয়ে দেখি জয়নাল মিয়া অন্যের জায়গায় ট্যাংকি নির্মান করেছে।আমি তাকে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা থাকবে মাটির নিচে,,আমি বললাম মাটির নিচে বা উপরে যেখানে থাকুক না কেনো অন্যের যায়গায় ইমারত নির্মান করার রাইট আপনার নেই।এটা ভেঙে ফেলেন,আপনার আশেপাশে সবাইর সাথে আপনি ঝগড়া করতে চান কেনো,এ বলে আমি তার নির্মাণাধীন ট্যাংকি ভেঙে ফেলার জন্য রাজমিস্ত্রিকে নির্দেশ দিলে তার ২য় স্ত্রী বাসা থেকে বডি নিয়ে আমার উপড় চড়াও হয়।আমার পাশে থাকা জয়নাল মিয়া আমাকে জাপটে ধরে রেখে তার স্ত্রীকে বলে একে জবাহ কর,আমি এহেন পরিস্থিতিতে নিজকে আত্নরক্ষারজন্য জাপটে মেরে মুল সড়কে উঠে ডাকচিৎকার দিলে এলাকার সকল লোক দৌড়ে এসে ভুমি সন্ত্রাস জয়নাল ও তার স্ত্রীকে ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে গিয়ে বাসায় আশ্রয় নেয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেলাম আমাকে চাদা না দেওয়ায় আমি তার ও তার স্ত্রীর উপর হামলা করেছি।প্রকৃত ঘটনা আাড়াল করতেই এ নাটকের সৃষ্টি করছে জয়নাল। আপনারা খোজ নিয়ে দেখেন ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মানুষের নিকট,তিনি সেই ওয়ার্ডে থাকাকালে সীমাহীন অত্যাচার করেছে,এখন ৪ নং ওয়ার্ডে এসেও সেই পুরনো কীর্তি শুরু করেছে।তার এহেন অত্যাচার কার্যক্রম ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পৌরসভা কর্তৃক রায় প্রদান করা হয়েছে যা মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সকল গণ্যমান্যগন অবহিত আছেন। শুনেছি জয়নাল মিয়া আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে,আমি আপনাদের মাধ্যমে চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত রহস্য উদাটন পুর্বক সরকারি কাজে বাধ দানের অভিযোগে জয়নাল ও তার ২য় স্ত্রীর গ্রৈফতার দাবী করছি।

পাশাপাশি আমি চাদা দাবী করেছে এ ঘটনা প্রমান করতে পারলে প্রোয়োজনে কাউন্সিলর থেকে পদত্যাগ করবো। আপনাদের মাধ্যমে জনগনকে জানাতে চাইযে আমার সাথে নির্বাচনে হেরে গিয়ে সেই পরাজিত শক্তিরা এখন ভুমি দস্যু জয়নালের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এ সব অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে,আমি তাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই আকতারুল আলম সামু চাদাবাজ নয়,ভুমিদস্যু নয়,জাল সনদ দিয়ে চাকুরী নেওয়া লোক নয়।এ সব দুর্নীতি করলে সামুর সম্পদের পাহাড় থাকতো,সামু কি আছে সেটা আপনারা জানেন,যারা আমার নেতা জ্যাকব কে মেনে নিতে পারছেনা তারাই আমাকে মানতে পারছেনা,এদেরকে আপনারা ভালো করেই চিনেন, এরা কথিত সংস্কারবাদী,কখনো লায়ন,কখনো মোকাম্মেল একেক সময় একেক রুপ ধারন করে জিরু থেকে হিরু হয়ে আজ পাজারো গাড়ি নিয়ে দৌড়াচ্ছে আপনাদের মাধ্যমে তাদের সম্পত্তির পাহাড়ের প্রকৃত উৎসো জানতে চাই। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকল সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তৃতা শেষ করেন।