ইভিএমে ভোট বিলম্বিত হওয়ায় উদ্বিগ্ন সিইসি যা বললেন
![](https://dipkantha.com/wp-content/uploads/2023/01/image-633906-1673443805.jpg)
![](https://dipkantha.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
স্টাফ রিপোর্টার//
রংপুর সিটি করপোরেশনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিলম্বিত হওয়ায় কমিশনকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আলাপ-আলোচনা করে এগুলোকে যতটা ওভারকাম করা সম্ভব সেটি চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি স্বচ্ছ নির্বাচন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন সিইসি।
গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। সেখানে ইভিএমের ভোট বেলা সাড়ে ৪টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় রাত ৮টায়। এ নিয়ে সাংবাদিক এবং মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা শুনতেই এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছিল না। কেন ভোট বিলম্বিত হচ্ছে, যে অভিযোগটা এর আগে আমরা কখনো পাইনি। এটা আমাদের খুব উদ্বিগ্ন করে তুলল।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে আমরা কেন সভাটি আহ্বান করেছিলাম। সম্প্রতি রংপুর সিটি করপোরেশনে যে নির্বাচনটি হয়েছে, নির্বাচন সুন্দর হয়েছে, সুষ্ঠু হয়েছে, অংশগ্রহণমূলক হয়েছে; কিন্তু কিছু সংকটের কথা বলা হয়েছে। কিছু অভিযোগ আমরা তখনই পাচ্ছিলাম মিডিয়ার সুবাদে। যেমন ভোট স্লো হচ্ছে একটা বড় ধরনের অভিযোগ ছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলছিল না। কেন ভোট বিলম্বিত হচ্ছে, যেই অভিযোগটা এর আগে আমরা কখনো পাইনি। এটা আমাদেরকে খুব উদ্বিগ্ন করে তুলল। আমরা তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, এই বিষয়গুলো যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন, যারা মিডিয়ার কর্মী হিসেবে সেখানে কাজ করেছেন এবং আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তা সেখানে থেকে যারা নির্বাচন ম্যানেজ করেছেন তাদের আমরা একটা সভায় আহ্বান করে ফিডব্যাক নেব।’
সিইসি বলেন, ‘কারণ আমরা যদি সরাসরি আপনাদের কাছ থেকে শুনতে না পাই তাহলে আমাদের পক্ষে যে সংকটটা হলো এটার কারণটা কিছু কিছু পেয়েছি পুরোটা আমরা এখনো পাইনি। এগুলো পর্যালোচনা করে চেষ্টা করব সংকটগুলো ওভারকাম করার জন্য। একইসঙ্গে আপনাদের বলছি যে, অন্যান্য নির্বাচনগুলোতে কিন্তু আমরা এই সমস্যাগুলো পাইনি। আমাদের মিডিয়া কর্মীরা কিছু কিছু বলেছেন সেগুলো যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে। যেটাই হোক ফিডব্যাক নেওয়ার দরকার ছিল। আমরা সেটি নিয়েছি।’
ফিডব্যাক নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আলাপ-আলোচনা করে এগুলোকে যতটা ওভারকাম করা সম্ভব আমরা সেটি চেষ্টা করব। আমরা চাই স্বচ্ছ নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। সেখানে এই জিনিসগুলো আমাদের প্রত্যাশা। এ ব্যাপারে আপনারা আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন। সবসময় সহযোগিতা করবেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট যারা ছিলেন, মিডিয়া কর্মী যারা ছিলেন তারা রিয়াল ফ্যাক্টটা তুলে ধরেছেন যে ভোট বিলম্ব হয়েছে। এখন টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলব যে, কেন বিলম্ব হলো, কেন মিলল না। তবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলে নাই এটা আমি বলেছি- না মেলার ঘটনাটি খুব বেশি ঘটেনি। কিন্তু বিলম্ব হয়েছে। বিলম্ব অনেক কারণেই হতে পারে। তবে আমরা এখনো এ বিষয়গুলো সঠিকভাবে জানি না। আমরা গভীরভাবে চিন্তা করব। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিরূপণ করার চেষ্টা করব।’