দেশের যে কোনো সংকটে আ.লীগ জনগণের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার আওয়ামী লীগ সবই করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের যে কোনো সংকটে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পাশে আছে। মানুষের সেবা করাই আওয়ামী লীগের নীতি।
যৌথ সভায় গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়াসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার সময়ে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারী উন্নয়নসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এসব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জনগোষ্ঠিও হবে স্মার্ট। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত বাংলাদেশ।
তিনি দলকে সুসংগঠিত ও তৃণমূলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে, যাতে অতীতের মতো আগুন-সন্ত্রাস ও নাশকতা করে কেউ দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামপর্যায়ে মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আমরা আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে পদক্ষেপ নিয়েছি। কোনো জমি অনাবাদি থাকবে না। সেজন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানাই। আমাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেন আমরা নিজেরাই সব কিছু উৎপাদন করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় ২৭টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও একটি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় খুবই কর্মব্যস্ত দিন কাটান। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলে নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সমাধিসৌধ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহত শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির অগ্রগতি কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের বছরে চ্যালেঞ্জ অনেক রয়েছে। তবে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্ষমতাসীন দল প্রস্তুত। বিএনপি কেন তত্ত্বাবধায়কের মতো মৃত ইস্যুকে জীবিত করতে চায়, সে প্রশ্ন রাখেন তিনি। এটি একটি ডেড ইস্যু। সংবিধান পরিবর্তন ও সংশোধন করার প্রয়োজন নেই।