প্রকাশিত: ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২২
আওয়ামীলীগ রক্ত দিয়ে এবারের আগস্ট মাসশুরু করল–ভোলায় বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
DipKantha
প্রকাশিত: ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার//
আওয়ামীলীগ আগস্ট মাস আসলেই ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো’ মানুষকে জোর করে কাঁদায়। এবার দেশের মানুষ স্বেচ্ছায় কাঁদতে বাধ্য হলো। কারণ তারা রক্ত দিয়েই আগস্ট মাসটি শুরু করেছে। লাশের উপরে দাঁড়িয়ে রাজনীতি বিএনপি করে না। আওয়ামীলীগই লাশের উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে। যার প্রমাণ ভোলার ভোলার জোড়া খুন। পুলিশের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী আব্দুর রহিম ও ছাত্রদল সভাপতি নূর আলমের পরিবারের সাথে দেখা করতে এবং সাংগঠনিক খোঁজখবর নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোলায় এসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ঘোষণা দেন নিহত পরিবারের স্থায়ীভাবে দায়িত্ব নেয়ার ও ভোলায় তাদের নামে দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ার।
১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে বাবুর বয়স চন্দ্র রায় আরো বলেন, ভোলায় জনগণের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ হন স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী আব্দুর রহিম ও ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলম। তাদের রক্ত কখনো বৃথা যাবে না। কারণ তারা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে আন্দোলন করেছেন। পুলিশ এভাবে নির্বিচারে দেয়ালের মধ্যে এসে গুলি করবে এটা আমরা ভাবতেও পারি না। আমরা বরাবরই জনগণের পক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। যার কারণে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে আসছে। যার বাস্তব রূপ হচ্ছে আজকে ভোলার সফল হরতাল। কোন ধরনের পিকেটিং ছাড়াই মানুষ দোকানপাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করছে আমরা এজন্য তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই সাথে সাথে তাদের এই আন্তরিকতার কারণে আমরা অর্থ দিবস হরতাল প্রত্যারের ঘোষণা দিচ্ছি তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, এ সকল শহীদ পরিবারকে আমরা সব সময় খোঁজ খবর নিব। তাদের সুখে দুখের অংশীদার হব। তারা যাতে কষ্টে না থাকে সে দায়িত্ব নেয়া হবে এবং বিএনপি যদি জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে তাহলে এ শহীদদের নামে ভোলায় দুটি প্রতিষ্ঠান করা হবে। যাতে করে তারা আজীবন মানুষের স্মৃতিতে থাকে। জনাব গয়েশ্বর আরো বলেন, এ সকল শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যাবেনা। পাশাপাশি তিনি দোষী পুলিশদের বিচারের দাবিসহ এ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগস্ট মাস আসলেই মানুষকে জোর করে কাঁদতে বাধ্য করেন, মানুষ মন থেকে এ সকল আগস্ট গ্রহণ করে না। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রতিনিধিদল শহীদ আব্দুর রহিমের পরিবারের ও শহীদ নূরে আলমের পরিবারের খোঁজ খবর নেন। এ সময় শহীদ আব্দুর রহিমের পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার তুলে দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির ভাই চেয়ারম্যান ভোলা ৩ আসনের সাবেক সাংসদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন ফারুক, মিডিয়া ছেলের আহবায়ক, সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, বিলকিস জাহান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন্দ কুদ্দুসুর রহমান, মাহাবুবুল হক নান্নু, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ভোলা ২ আসনের সাবেক সংসদ হাফিজ ইব্রাহিম, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না। জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীরের উপস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ টুম্যান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র শফিউর রহমান কিরণ, আলহাজ্ব রাইসুল আলমসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদল সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।