ভোলায় ছাত্রদল নেতা আলমের মৃত্যুতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল
স্টাফ রিপোর্টার//
ভোলায় পুলিশের গুলিতে আহত ছাত্রদল জেলা সভাপতি নূরে আলম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বাড়ি ভোলা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের আলতাজের রহমান সড়কে। প্রতিবাদে ভোলায় ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভোলা। আগামীকাল ভোল এ নেতার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। শহর জুড়ে মোতায়ন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
৩১ জুলাই ২০২২ তেল গ্যাস রক্ষা সহ বিভিন্ন দাবিতে ভোলায় বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম। আহত হয় শতাধিক। গুরুতর আহত অবস্থায় নূরে আলমকে ঢাকার কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিন দিন লাইভ সাপোর্টের পর ৩ আগস্ট বিকেল চারটায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর সংবাদের সাথে সাথে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভোলা। বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়ে নেতাকর্মীরা। ৪ আগস্ট ২০২২ সকাল সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর। ঘোষণার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় শহরের দোকানপাট। বিরাজ করে থমথমে অবস্থা। মোতাহেন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। নূরে আলম ভোলা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের আলতাজের রহমান সড়কের বাসিন্দা মরহুম সালেহ আহমদ মাস্টারের সাত সন্তানের সবার ছোট। চার ভাই আর তিন বোনের সবার ছোট নূরে আলম ছিলেন অত্যন্ত আদরের। ছাত্র জীবনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইসরাত জাহান সিফাতের সাথে। জন্ম নেয় ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান আসাদ বিনতে আলম। যার বয়স পাঁচ বছর। নিহত নূরে আলম ভোলা ওবায়দুল হক বাবুল মোল্লা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমের ছোট ভাই এবং ভোলা জাঙ্গালিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন বড় ভগ্নিপতি।