ভোলায় জমি-জমা বিরোধে সংবাদ সম্মেলন

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ২:১০ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২২

ভোলা প্রতিনিধি//

ভোলা সদর উপজেলায় জমিজমা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও হেনস্তা থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আবু মুসা নামের এক ভুক্তভোগী। তিনি অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষরা প্রভাবশালী হওয়ায় কাগজপত্রে জমি না পেলেও তাঁর বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্নসহ অফিসিয়াল কাযকর্মে বাঁধা প্রদানের পাশাপাশি তাকে সামাজিকভাবে নানা ধরণের হয়রানি করে আসছে। আজ বুধবার (১৮মে) দুপুর ১২টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আবু মুসা।
লিখিত বক্তব্যে আবু মুসা বলেন, তিনি ভোলার শিবপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। ২০১৭ সালে তাঁর চাচাতো ভাই আবুল বশার হাওলাদারের কাছ থেকে শিবপুর মৌজার ৫২৫ খতিয়ানের ৩৬শাতংশ জমি তিনি ও তাঁর প্রবাসী ভাই আবুল খায়ের মিলে ৯লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। সে থেকে ওই জমিতে তাঁরা ঘর তুলে বসবাস করে আসছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৭তারিখে অবশিষ্ট জমিতে একটি বসত ঘর ও তিনটি দোকান নির্মান কাজ শুরু করেন। পর দিন আবুল বাশারের দুলাভাই মো. মিজানুর রহমান জমিতে জোরপূর্বক ঘর তোলা হচ্ছে বলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে থানার ওসি তদন্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে জমির কাগজপত্র থেকে রাস্তার ওপর অবৈধভাবে মালামাল রাখার অপরাধে দুই জন শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে একদিন পর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তাদের ছাড়িয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ করেন আবুল বাশারের ছোট ভাই আব্দুল মাজেদ। সে অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওই জমির বাসিন্দাদের মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। একই সাথে জমির বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে ভূমি অফিসকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এর পর থেকেই আব্দুল মাজেদ ও তাঁর দুলাভাই মিজানুর রহমান মিলে আবু মুসাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আবু মুসা আরো অভিযোগ করেন, আবুল বাশারের ৫ভাই ৫ বোন। তাদের নিজেদের মধ্যে অন্য আরো যাদের কাছে জমি বিক্রি করেছেন তাঁরাও নির্বিগ্নে চৌহদ্দি মোতাবেক জমি ভোগ করে আসছেন। কিন্তু আবু মুসাকে তাঁর দখলীয় ক্রয়করা জমি ভোগ করতে দিচ্ছেন না প্রতিপক্ষরা। মূলত আবুল বশারকে তাঁর ছোট ভাই ও বোনেরা এই জমিতে দিতে চাইছেন না। বাবার সম্পদ থেকে তাকে বঞ্চিত করতে পায়তারা করছেন তাঁরা। এ জন্যই তাঁরা এ অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। এমনকি তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের দিয়ে বিদ্যুতের মিটার খুলে নিয়ে গেছেন। এবং যারা ওই জমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে আসেন তাদেরকে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে দিবে বলে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তাঁরা। এছাড়াও আবু মুসা গত মঙ্গলবার ভোলা সদর সাব রেজিস্ট্রি অপিসে অন্য একটি জমির দলিল করতে গেলেও সেখানেও তাঁরা বাঁধা দিয়ে দলিলটি বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই তিনি এসকল হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. ফজলে রাব্বি রিমন, মোসলেহ উদ্দিন।