ভোলার চরফ্যাশন বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান পুড়ে ছাই
এম লোকমান হোসেন //
ভোলার চরফ্যাশন সদর রোড শরীফ পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ১২টি দোকানপাট।অগ্নিকান্ডে ব্যবসায়িদের প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার রাত আনুমানিক ২ টা৩০মিঃ সদর রোড শরিফ পাড়া ইয়াকুব মিয়ার মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে ইয়াকুব মার্কেটের একটি স্টিলের আলমারির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।ধারনা করা হচ্ছে মধ্যরাতে হাই ভল্টেজের কারনে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। আগুন লেগে মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের টিনসেড দোকানগুলোতে।খবর পেয়ে সাথে সাথে ছুটে আসে চরফ্যাশনের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।তারা খালে পানি না পেয়ে ফ্যাশন স্কয়ারের পুকুর থেকে পানির সংযোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।এসময় ব্যাবসায়ী নেতারা খবর দেয় পার্শ্ববর্তী উপজেলা লালমোহন উপজেলার ফায়ার সার্ভিসকে।তারাও ছুটে আসে ঘটনাস্হলে।এরপর দুই উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ইয়াকুব রাঢ়ী মার্কেটের ১২টি দোকান ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এর মধ্যে রয়েছে ২টি পার্টসের দোকান, ৩টি স্টিলের আলমিরা দোকান, ২টি ইলেকট্রনিক্স দোকান, ১টি গ্লাসের দোকান, ১টি লন্ডির দোকান, ২টি লেপ-তোষকের দোকান,২টি মুদি দোকান।
অগ্নিকান্ডে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে চরফ্যাশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি প্রভাষক মনির উদ্দিন চাষী জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী জনৈক ব্যক্তি জানান, রাস্তা ও বৈদ্যুতিক খুটি সরানোর কাজ চলমান থাকায় করায় ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির ঝুলন্ত তার দোকানে সংযোগ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস দাবি করেছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১কোটি ৫০ লাখ হতে পারে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান বলেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দেড় বা দুই কোটি হতে পারে।
এদিকে ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদৃল্রাহ আল ইসলাম জ্যাকব অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্হ এলাকা পরিদর্শন শেষে ব্যাবসায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।তিনি তাৎক্ষনিকভাবে পিআইও কে ক্ষতিগ্রস্হদের তালিকা করে তাদেরকে সার্বিক আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।