ভোলায় শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলা। সাংবাদিকদের উপর চড়াও


স্টাফ রিপোর্টার//
ভোলায় সন্ত্রাসী হামলায় মাছুমা খানম বালিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসমাইল হোসেন মনির গুরুতর আহত হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ভোলা পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ইসমাইল হোসেন ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সংবাদ সংগ্রহের সময় হাসপাতালে মোহাম্মদ আলীর লোকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসমাইল হোসেন মনির দীর্ঘ দিন ধরে স্থায়ীভাবে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছেন। ইসমাইল স্যার উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদনের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলরের অনুমতিতে বিদ্যুতের খাম্বা স্থাপন করা হয়। ট্রাক যাতায়াতে খাম্ভাটি প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেনের জমির দিকে বেঁকে যায়। বিদ্যুৎ বিভাকে বিষয়টি জানানো হয়। বিদ্যুৎ বিভাগ খাম্বা সোজা করতে দেরি হাওয়ায় প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তার জামাই মুহাম্মদ ইউনূসের ছেলে আরিফ হোসেন ও প্রতিবেশী আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ আলীকে জানায়। মোহাম্মদ আলী ও আরিফ হোসেন আজ ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ১০/১২ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়ে ইসমাইল মাস্টার এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ইসমাইল মাস্টার গুরুতর আহত হয়। মাথা ও শরীরের আঘাতপ্রাপ্ত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। স্থানীয়রা আরো জানান, আরিফ হোসেন ও মোহাম্মদ আলী এলাকায় নতুন টাকার গরমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। এ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর আসাদ হোসেন জুম্মান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি মোহাম্মদ আলী জানান, আমাকে ইসমাইল মাস্টার ঘুষি দিয়েছে। আমি তাকে আমার হাতে থাকা মোটর সাইকেলের হেলমেট ঘুরিয়ে মেরেছি। এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, ভোলা সদর থানার সভাপতি আমির হোসেন, সহকারি শিক্ষক কল্যাণ তহবিলের সভাপতি, জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ, বাংলাদেশ সহকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি আশরাফুল আলম, শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব এমরান হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।