খাল তো নয় এ যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার//

ভোলার দৌলতখান উপজেলার বেতুয়া খালটি এখন অস্তিত্রয়েছে। মূলত পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনার ফেলার মত কোনো জায়গা না থাকায় পৌর শহরের আবাসিক এলাকার সকল ময়লা-আবর্জনা এ খালে নিয়মিত ফেলতে হয় । ফলে এ বেতুয়া খালটি তে অপরিকল্পিতভাবে বর্জা ফেলায় জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে রয়েছে। ময়লা জমে সৃষ্ট দুর্গন্ধে আশেপাশের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। পক্ষান্তরে বেড়েছে মশার উপদ্রবও। এক সময়ের তীব্র খরস্রােতা সবচেয়ে বড় দৈর্ঘ্য-প্রস্থের বেতুয়া খালটি আজ পদে পদে বাঁধা গ্রস্ত হওয়ায় অতিতের ইতিহাস হারিয়ে প্রায়ই মৃত অবস্থায় স্বাক্ষ্য হয়ে আছে। দৌলতখান পৌর শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিনিয়ত কুঁড়িয়ে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকমারি ময়লা আর্বজনা। পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব ময়লা-আবর্জনা গাড়ি ভর্তি করে উপজেলা পরিষদের প্রবেশমুখের দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ থেকে খালে ফেলে দেয়ায় খালটি ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বাঁধা গ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পানি নি:স্কাশনের সুব্যবস্থা। উপচেপরা ময়লার স্তুপে ব্রীজেরগোরা দিনদিন ভরাট হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন। দেখার যেন কেউ নেই। ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান হিসেবে ব্রিজের গোরাটি চিহ্নিত করায় প্রতিনিয়ত পঁচাময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধে পথচারিদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়লা আবর্জনায় স্তুপ মেঘনা-তেতুলিয়া জোয়ার ভাটার সংযোগ খালটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। তেতুলিয়া সংযোগ থেকে বাংলাবাজার হয়ে দৌলতখানের বালক বিদ্যালয় সংলগ্ন বেতুয়ার পানি স্লুইসগেট দিয়ে মেঘনায় উঠানামা করে। পথিমধ্যে অনেক অসাধু লোকজন মাছ ধরার জাল ও গের পাতায় পানি উঠা নামার স্রােত বাধাঁগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক স্বার্থপর মানুষ খাল ভরাট করে ঘরবাড়ি নির্মান করছে। বাগান বাড়ি বাড়াচ্ছে। এতে বর্ষায় চাষাবাদি কৃষকদের মৌসুমী ফসল বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খালে পানি আটকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কাংঙ্খিত ফসল ফলাতে না পেরে অর্ধানাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। খালে পানি উঠা নামার পথ বাঁধাগ্রস্ত হওয়ার ফলে বর্ষা মৌসুমের প্রচন্ড বর্ষায় পুকুর-ডোবার পানি একাকার হয়ে ফসলের মাঠ তলিয়ে যায়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানালেন, পৌরসভা থেকে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে সবাই এখানে খালি জায়গায় ময়লা ফেলছেন। আগে এই খালটি দিয়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করতো এখন আর নৌকা চলাচল করে না। তাছাড়া এলাকার মানুষ ময়লা ফেলার কোনো নির্দিষ্ট স্থান না পেয়ে এই জায়গাটিতে দীর্ঘদিন ময়লা ফেলার কারণে খালটি আজ মৃতপ্রায়। এছাড়াও আরও বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেন তারা।

এ ব্যাপারে দৌলতখান পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার জানান, ওই স্থানটিতে পৌর শহরের ময়লা ফালানো হয়েছে বলে শুনেছি। তবে বিষয়টি আমার নজরে আসার পর পরই এখানে ময়লা ফালানো নিষিদ্ধ করে ময়লা ফালানোর নির্ধারিত স্থান ঠিক করে দিয়েছি ।