ধর্ষন ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ মামলায়-গ্রেফতার-১
স্টাফ রিপোর্টার//
নরীও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষন ও অশ্লীল ভিডিও ফুটেজ ধারণে পর্ণোগ্রাফি আইনে চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী এক গৃহবধূ। ওই মামলায় গতকাল শনিবার (১৮ডিসেম্বর) শশিভূষণ থানাপুলিশ ঢাকা সদরঘাট এলাকা থেকে অভিযুক্ত আরিফ খন্দকার (৩৬) নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ডিসেম্বর) শশিভূষণ থানায় ওই গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষন ও অশ্লীল ভিডিও ফুটেজ ধারণে পর্ণোগ্রাফি আইনে আরিফ খন্দকার(৩৬)কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সমেস আলী বলেন, উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাসির খন্দকারের ছেলে ডিসলাইন ব্যবসায়ী আরিফ খন্দকার একই ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী (৩৫) কে ফুসলিয়ে প্রেমের প্রস্তাবে একাধীকবার দৈহিক মেলামেশা করে। এছাড়াও কৌশলে গোপনে অশ্লীল ভিডিও ধারন করে এবং ওই অশ্লীল ভিডিও ফুটেজটিকে পুজিঁ ও জিম্মি করে বিভিন্ন সময়ে ওই গৃহবধুকে ব্ল্যাকমেইল করে ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে মামলার এজহারে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন । ভূক্তভোগী ওই গৃহবধু বলেন,ডিসলাইন ব্যবসায়ী আরিফ খন্দকার কৌশলে আমার একটি অশ্লীল ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে আমার কাছ থেকে ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আরও দাবিকৃত টাকা না পেয়ে সে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় এবং আমার স্বামীর মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়ায় আমার সংসারটি ভেঙ্গে যায়। আমি এ বিষয় নিয়ে এর বেশি কিছু বলতে চাইনা। ভূক্তভোগী ওই গৃহবধুর ব্যবসায়ী স্বামী বলেন, আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ১৭বছর পূর্বে। আমাদের দাম্পত্য জীবনে আমার দুই সন্তান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী আমার ক্ষতি সাধনে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালায়। যার ফলে আমার জীবনের হুমকি মনে করে আমার স্ত্রীকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি। সে আমার কাছ থেকে কৌশলে নগদ টাকা ও জমিও হাতিয়ে নিয়েছে। স্থানীয় একাধীক এলাকাবাসী বলেন, চরফ্যাশনে ডিশলাইন ও ওয়াইফাই লাইনের ব্যবসার আড়ালে এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ ব্যবসার আড়ালে এ চক্রটি চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এর আগেও হাজারীগঞ্জের এই এলাকায় চরফ্যাশন পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের মাহমুদ নামের এক ওয়াইফাই লাইনম্যানকে স্থানীয়রা আটক করে গণ ধোলাই দেয়। পরে অভিযোগ পেয়ে শশিভূষণ থানাপুলিশ তাকে আটক করে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা আরও জানান, এই চক্রের সদস্য অভিযুক্ত আরীফ এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করেছে। তাঁর নেশা হচ্ছে বিভিন্ন নারীকে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সর্বনাশ করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করা। এ বিষয়ে শশিভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনে ধর্ষন ও অশ্লীল ভিডিও ধারনে পর্ণোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী ওই গৃহবধূ। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করেছেন।