ভোলার সাগর মোহনায় ২০ জেলের এখনো সন্ধান মেলেনি
কামরুজ্জামান//
ঘটনার দুইদিন অতিবাহিত হলেও এখনো সন্ধান মেলেনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনায় নিখোঁজ ২০ জেলের। তাদের পরিবারে আহাজারি এখনও থামেনি। নিখোজরা জীবিত আছে কি-না এখনও কেউ বলতে পরছেনা।
চর মানিকা জোন কোষ্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ বলেন, নিখোঁজদের খোঁজে তৎপর রয়েছে কোস্টগার্ড।
সোমবার মধ্যরাতে সাগরে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের কামাল খন্দকারের মালিকানাধীন এফভি “মা শামসুননাহার”মাঝি মাল্লাসহ ২১জেলে সাগরে ডুবে যায়। এদের মধ্যে হাফিজ(৩২) নামে এক জেলে সাগরে ভেসে পাথরঘাটা পৌছালে সেখানকার জেলেরা তাকে উদ্ধার করে।নিখোঁজ ২০ জেলেদের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর, দক্ষিন শিবা, নীলকমল ও ভোলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নের।
নিখোঁজ জেলেরা হচ্ছেন, বাচ্চু মাঝি, ফারুক হাওলাদার, আল-আমিন, আব্দুল খালেক, ইউসুফ মাঝি, আঃ জলিল, রফিক, মাসুদ, বাচ্চু মুন্সি, হারুন মেস্তরী, নুরুল ইসলাম, নুরে আলম, আবুল বাশার, সুমন, সাহিন, দীন ইসলাম, নাগর মাঝি, জসিম সহ অজ্ঞাত আর ১ জন। নিখোঁজ ২০ জেলের মধ্যে ১০ জন আবদুল্লাপুর, ৮ জন জাহানপুর, ১ জন নীলকমল ও ১ জন ভোলা ইলিশা ইউনিয়নে এলাকার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উদ্ধারকৃত জেলে হাফিজ জানান, জেলে জানান, ‘ঘূর্ণীঝড় জাওয়াদের কারনে বৈরি আবহাওয়ায় সাগরে টিকতে না পেরে জেলেরা নিরাপদ আশ্রয়ে রওয়ানা হলে সোনারচরগামী এফভি এস আর এল-৫ মালবাহী একটি জাহাজ পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। মুহুর্তে আমাদের ট্রলারটি সাগরে কাথ হয়ে উল্টে যায়।ট্রলারে বয়া নেয়ার সময়টুকু হয়নি।আমি একটি কন্টিনার পেয়ে ভেসে থাকি। আমার সঙ্গীরা জীবিত আছে কি-না এখনও নিশ্চিত বলতে পারছিনা। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ সাগরে নিখোঁজ কোন জেলেকে উদ্ধার করা যায়নি। চরফ্যাশন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন নিখোজ জেলেদের ১জন ছাড়া আর কোন জেলেকে উদ্ধার করা যায়নি।উদ্ধার নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।প্রশাসন এখনও নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে তংপর রয়েছে।