ভোলার চরফ্যাশনে দিন দুপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুট-আহত-৫
স্টাফ রিপোর্টার//
ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে জোর জবর দখল চেষ্টা ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১২সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা ও জবরদখল চেষ্টা এবং লুটের ঘটনার সময় দোকান মালিক মাহবুব, জসিম উদ্দিন, রিপা, শিশু সন্তান তানজিল এবং দোকানের ক্রেতা পারভীন বেগমসহ ৫ জন আহত হয় বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। হামলাকারীরা দফায় দফায় হামলা ও মারধর করে দোকান মালিককে বের করে দিয়ে দোকানটির দখল নিয়ে মালামাল লুট করে। এঘটনায় খবর পেয়ে শশীভূষণ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের লোকজন দোকান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আপাদত দোকানঘরটি পুলিশের জিম্মায় নেয়া হয়েছে।
হামলায় আহত দোকান মালিক মাহবুব ও জসিম উদ্দিন জানান, চেয়ারম্যান বাজারের সদর রোডে বিরোধীয় জমির ২টি দোকান ভিটার মালিক তাদের পিতা আবুল কালাম মেম্বার। প্রায় ৪২ বছর ধরে দোকানঘর নির্মাণ করে আবুল কালাম মেম্বার ভোগ দখলে রয়েছেন। যার ধারাবাহিকতায় আবুল কালাম মেম্বারের ছেলে মাহবুব এবং জসিম উদ্দিন ওই ২টি দোকান ভিটায় দীর্ঘ বছর ধরে পপুলার মেডিসিন কর্নার এবং বাবুল মেডিকেল নামে দোকান পরিচালনা করে আসছেন। সম্প্রতি প্রতিপক্ষ সিদ্দিকগংরা ওই দোকান ভিটার মালিকানা দাবী করে দখলের পায়তারা করে। যার প্রেক্ষিতে আবুল কালাম মেম্বার চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ওই মামলায় প্রতিপক্ষ সিদ্দিকগংদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন বলে জানান মাহবুব। সিদ্দিকগংরা বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আদেশ উপেক্ষা করে রোববার সকালে পপুলার মেডিসিন নামের দোকানঘরটিতে হামলা চালিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, সকালে বহিরাগত ৬০ থেকে ৭০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিদ্দিক দোকান ঘর ২টি জবর দখলের চেষ্টা করেন। এসময় দোকানের মালিক মাহবুব ও জসিমরা বাধাঁ দিলে তাদের মারধর করে দোকান থেকে বের করে ক্যাশের টাকা ও দোকানের মালামাল লুুট করে। খবর পেয়ে দোকান মালিকপক্ষের স্ত্রী-সন্তানরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও মারধর করে সন্ত্রাসী দল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দখলদার সিদ্দিকগংদের দোকান থেকে বের করে দোকানটি পুলিশের জিম্মায় তালাবদ্ধ করে। অভিযুক্ত সিদ্দিক জানান, বিরোধীয় ঘরের মালিক ছিলেন তার বাবা আশ্রাফ আলী। প্রতিপক্ষ আবুল কালাম মেম্বার তার ভগ্নিপতি। আমাদের ভগ্নিপতি হিসেবে আবুল কালাম তাঁর শ্বশুড়ের ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে ব্যবসা করে আসছিলেন। কিন্তু শ্বশুড় আশ্রাফ আলীর মৃত্যুর পর ভাড়াটিয়া জামাতা আবুল কালাম নিজেই ঘরের মালিকানা দাবী করে দখল করে নেন। এখন আমাদের পিতা আশ্রাফ আলীর ওয়ারিশ হিসেবে আমরা ছেলেরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা দাবী করছি। শশীভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা এড়াতে আপাদত বিরোধীয় ঘরটি পুলিশের জিম্মায় রয়েছে। উদ্ভুত ঘটনার জন্য কোন পক্ষ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।