হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল।

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ২:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি//

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…রাজিউন)।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালের দিকে রওনা হন সঙ্গীরা। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।

৬৭ বছর বয়সি দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

বাবুনগরীর দাফন চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানে হবে। রাত ১১ টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে সেখানে দাফন করা হবে।

হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শফিকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল সেখানেই দাফন করা হবে বাবুনগরীকে।

তার বর্ণাঢ্য জীবন থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন জুনায়েদ বাবুনগরী।

তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লিসহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাবুনগরী ১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার বাবুনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

৫ বছর বয়সে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরে ভর্তি হন। সেখানে তিনি মক্তব, হেফজ ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন।

এর পর তিনি ভর্তি হন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায়। ১৯৭৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।

এর পর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে তিনি পাকিস্তান যান। ১৯৭৬ সালে করাচিতে অবস্থিত জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগে ভর্তি হন। পরে তিনি জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া থেকে হাদিসের সর্বোচ্চ সনদ লাভ করেন।

আরবি, উর্দু ও বাংলায় তার রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৩০টি।
বাবুনগরী ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে গেছেন।