জলদস্যু আতঙ্কে দৌলতখানের জেলেরা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
মিরাজ হোসাইন//
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলোর মধ্যন্যতম। দ্বীপ জেলা ভোলার দৌলতখানের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস মেঘনা নদী। এই নদীতে জীবিকার তাগিদে হাজার হাজার জেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে ছুটে যান। নদীতে নেই কোন জেলেদের জীবনের উন্নত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। তাই প্রতিনিয়ত জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে গেলে জলদস্যুদের হামলার শিকার হন এবং মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসতে হয়।প্রতিদিন মধ্যরাতে এসব ডাকাতির ঘটনায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জেলেরা জানান। বর্তমানে নদীতে জলদস্যুদের ভয়ে দৌলতখানের হাজার হাজার জেলে অসহায় জীবনযাপন করছেন।’
জলদস্যুদের হামলার শিকার দৌলতখান পৌরসভার জেলে মোঃ সিরাজ মাঝি ও সৈয়দপুর ইউনিয়নের জেলে মোঃ আকতার মাঝি জানান , ‘এবার যদিও নদীতে মৌসুমের শুরুতে কাঙ্খিত মাছের দেখা পাচ্ছেনা তারা। তার উপর আমাদেরকে জলদস্যুরা আটকে রেখে হামলা করে মুক্তিপণ দাবি করেন।
পরে তাদেরকে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ পরিশোধ করে ফেরত আসতে হয়।এমন পরিস্থিতিতে দু’মুঠো ভাত খেয়ে বেচে থাকাই বড় দায় হয়ে পড়েছে। একদিকে নদীতে তেমন মাছ নেই । অন্যদিকে করোনার প্রভাব বিস্তার। বর্তমানে এমন পরিস্থিতে জেলেরা অসহায় হয়ে পড়েছে। ডাকাতের আতংকে নদীতে মাছ শিকারে যেতে পাড়ছেন না জেলেরা। ওরা ঘূর্ণিঝড় কিংবা প্রাকৃতিক বির্পযয়ে অবসর থাকতে হয়। এদিকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে জানান, নৌ- পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় জলদস্যুরা বেপরোয়াভাবে জেলেদেরকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে মেঘনায় এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে। এতে অসহায় জেলেরা তাদের সর্বস্ব হারায়। নৌকা তীরে ভেড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় তেলটুকুও তারা লুট করে নিয়ে যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারির দাবি জানান তিনি।’
এ বিষয় মির্জাকালু নৌ-পুলিশ ফাড়িঁর ইন-চার্জ রহুল আমিন জানান, মেঘনায় এমন ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি । জেলেদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান দৈনিক আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘ইতোমধ্যে জেলেরা আমাকে বিষয়টি অবহিত করছেন। খুব শীঘ্রই নদী থেকে জলদস্যু নির্মূলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।