ভোলার ফেরিতে যাত্রীদের জীবন মরণ যুদ্ধ

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২১

এইস এ শরীফ//

লকডাউনের কঠোরতার মধ্যেই শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ায় ভোলার ফেরিতে যাত্রীদের জীবন-মরণ যুদ্ধ চলছে। সামাজিক দূরত্বেরতো দূরের কথা, জীবন চলে গেলেও যোগ দিতে হবে চাকুরীতে, এমন মানসিকতা নিয়েই হাজার হাজার মানুষ রওয়ানা হচ্ছে কর্মস্থলে।

শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার খবরে ইলিশা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের হিড়িক পড়েছে। ফেরিতে পারাপার হওয়া যাত্রীদের অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক।

শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে ভোলার ইলিশা ঘাটে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শত ভোগান্তি মাথায় নিয়ে চাকরি বাঁচাতে ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরিতে কর্মস্থলে ফিরছেন হাজার হাজার শ্রমিক।

অন্যদিকে নুরে আলম(৩৬)নামের এক গার্মেন্টস কর্মী জানান তাদের ১০০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে, ৩০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এর পরও চরম ভোগান্তি আর হয়রানির শিকার তারা। তিনি বলেন চাকুরী বাচাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছি বাকিটা আল্লাহ ভাল জানে।

এদিকে ফেরিতে পারাপারের সময় বৃদ্ধ নারী ও শিশু প্রায় ৯/১০ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে, এদের স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দ্বারা সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

এসব যাত্রীরা লক্ষ্মীপুর হয়ে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যোগ দেবেন। এদের অধিকাংশই নিন্ম আয়ের মানুষ, যারা পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন।

মরিয়ম বিবি( ২৭) নামের এক মহিলা বলেন হুট করে গার্মেন্টস, কল-কারখানা খোলার কারনে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। সরকারের উচিত ছিল আগে আমাগো রে গাড়ি, লঞ্চের ব্যবস্থা করে দিয়ে তারপর এসব খুলতে কিন্তু তা না করে এমন সিদ্ধান্ত হাইস্যকর বা ভাবনার।

এদিকে শনিবার ভোর থেকে হাজার হাজার যাত্রী ঘাটে এসে ভীর করলে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ইলিশা ফাঁড়ির পুলিশ ঘাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়।

ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা শতভাগ চেষ্টা করেছি কিন্তু যাত্রীদের চাপে সম্ভব হয়নি।