লকডাউনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন, বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২১

 

মোঃ মিরাজ হোসাইন//

দৌলতখানে লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। লকডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তারেক হাওলাদারের নের্তৃত্বে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বিধি-নিষেধ অমান্য করার অপরাধে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ কে জরিমানার আওতায় আনা হবে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনায় অংশ নিয়েছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মহুয়া আফরোজ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান।

কোভিড১৯ সংক্রোমণ রোধে দেশজুরে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে অভিযান চালিয়ে যানবাহন ও লোক চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছেন। সড়কগুলোতে রিক্সা চলাচল আগের মতই স্বাভাবিক ছিল। তবে ব্যাটারীচালিত বোরাক ততটা দেখা যায় নি।
বৃহস্পতিবার ( ১ জুলাই ) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ লকডাউন চলবে ৭জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।
এদিকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী। জরুরী কারন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে কঠোর শাস্তির হুশিয়ারী দিয়েছে সরকার। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে গ্রেপ্তার করার কথা বলেছে পুলিশ। বিধি-নিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে টহল দিচ্ছে সেরাবাহিনী বাহিনী। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হতে দিচ্ছেন না তারা। রাস্তায় কাউকে দেখা গেলেই কোথায় যাচ্ছেন, কেনো যাচ্ছেন, নানা প্রশ্ন করে যৌক্তিক উত্তর দিতে পারলে গন্তব্যস্থানে যেতে দিচ্ছেন। অন্যথায় ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
রিকশা-ভ্যান, জরুরি পরিষেবার যানবাহন ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। এছাড়াও যারা অযথা রাস্তাঘাটে চলাচল করছে তাদের পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বন্ধ আছে সব ধরনের দোকানপাট, শপিংমল । তবে কাঁচাবাজারগুলো খোলা থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি পূর্বের মত দেখা যায় নি। সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে দুশ্চিতায় রয়েছে দৌলতখান উপজেলার চরাঞ্চলসহ স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। তবে অত্যধিক দুশ্চিন্তায় আছেন মধ্যবিত্ত মানুষগুলো। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর দুশ্চিন্তার শেষ নেই। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো দুঃখ কষ্টে দিন কাটলেও কারো কাছে হাত পাতাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ী জামাল জানান, আমি একজন দিনমজুর। আমি আম বিক্রি করে পরিবারের জন্য দুই মুটো ভাতের ব্যবস্থা করি। আমার অন্য কোনো আয়ের উৎস্য নেই। লকডাউনের কারনে আমি বাজারে আমি বিক্রি করতে পারি না। যার কারনে আমার পরিবারেরর ভরণ-পোষণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক হাওলাদার জানান, লকডাউনে কঠোর অবস্থানে আছে এবং থাকবে। সরকারের বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। ইতিমধ্যে দৌলতখানের হাট- বাজারসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। প্রশাসন সর্বাত্মক লকডাউন সফল করতে খুবই তৎপর রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।