জুলুমবাজদের আতংক কাউন্সিলর সামুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
এম লোকমান হোসেন:
জুলুমবাজদের আতংক চরফ্যাশনে পৌর এলাকায় মানবতার ফেরিওয়ালা জনতার কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামুর জনকল্যাণমুলক কাজে ঈর্শান্বিত হয়ে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে তাকে দাবিয়ে রাখতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।
গত বুধবার কলেজ পাড়া এলাকায় অবৈধভাবে স্হাপনা নির্মাণ সরিয়ে নিতে বললে সাবেক কমিশনার ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী জড়িয়ে পড়েন বাকবিতন্ডায়।
কাউন্সিলর পৌরসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে সরকারের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাবেক কমিশনার ও আ’লীগ নেতা জয়নাল আবদিন কে তার নির্মিত অবৈধ স্হাপনা ও প্রতিবেশীদের চলাচলের রাস্তার উপরে রাখা নির্মাণের মালামাল সরাতে বললে জয়নাল তার স্ত্রী সামুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলে পৌরসভার এবং তোমার সিদ্ধান্ত মানিনা।
এসময় সামু নিজ হাতে দেয়াল ভাঙ্গার কাজ শুরু করলে জয়নাল ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম সামুর গেন্জীর কলার ও হাত চেপে ধরে। বটি নিয়ে আয় তোরে আজ জবাই করবো।আত্নরক্ষার্থে সামুর সাথে ধস্তাধস্তিতে মমতাজ পাশের গ্রীলের উপরে পরে আঘাত হয়। তুচ্ছ এই ঘটনাকে পুজিঁ করে সামাজিক সোশ্যাল মিডিয়ায় সামুকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু করে।
প্রথম শ্রেনীর পৌরসভায় নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ঘটনার কোন রকম তদন্ত ছাড়া মামলা নেয়ার ঘটনায় সামু সাংবাদিকদের বলেন,আমার জন কল্যানমুলক কাজই আমার জন্য কাল হয়েছে। আমার নেতা জননেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহোদয়ের নির্দেশমত আমি দরিদ্র নিপেড়িত মানুষের কল্যাণে সার্বক্ষনিক নিজেকে নিয়োজিত রাখি।প্রতিনিয়ত নাগরিকদের সেবা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছি। নিজের স্বার্থের কথা কখনও চিন্তা করিনা। সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।সেদিনের ঘটনায় আমার কোন স্বার্থ ছিলনা।পৌরসভার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাধাঁর শিকার হয়েছি।আমার বিরুদ্ধে যারা অতিউৎসাহি হয়ে তাদের বিচার একদিন উপরওয়ালা করবেন।আর তার পরে বিচারের ভার আমার প্রিয় পৌরবাসিদের উপর। আমি মহিলা উপরে হামলা করিনি,বরং মহিলা আমার গলা চেপে ধরলে ধস্তাধস্তিতর এ পর্যায়ে সে গ্রীলের উপরে পড়ে মাথায় আঘাত পায়।
সাবেক কমিশনার জয়নাল আবদিন সাংবাদিকদের বলেন,সামুকে আমি ৯৬ সনে দলে যোগদান করিয়েছি।আমার প্রতি তার কোন নীতি নৈতিকতা ছিলনা। আমি আমার সীমানায় দেয়াল করলে পৌরসভায় প্রতিবেশিরা অভিযোগ করলে সামু বাধাঁ দেয়।আমি আর মমতাজ দেয়াল ভাঙ্গতে বাঁধা দিলে সে আমার স্ত্রীকে ধাক্কা মারে।এতে তার মাথা রক্তাত্ত হয়। আহত মমতাজ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এই ঘটনায় সামু ও তার বড় ভাই মীরুর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করছি।
চরফ্যাসন থানার ওসি জানান মামলার তদন্ত চলছে।এস আই জাহিদকে এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শেষে সামু দোষি হলে তাকে আইনে শাস্তি পেতে হবে।