চরফ্যাশনে সাংবাদিক মনিরুলের উপর হামলাকারীদের গণধোলাই

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার//

ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ থানায় মঙ্গলবার (১৫ জুন) নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিককের উপর হামলার ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার দক্ষিণ জনপদ ১০ নং হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরফকিরা ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দৈনিক সংগ্রামের সাবেক তজুমুদ্দিন উপজেলা সংবাদদাতা সাংবাদিক মনিরুল একরাম( ৩৫), তার ভাই মোশাররফ (৩০) ও প্রতিবেশী খোকন (২৫) পাটোয়ারী মারাত্মক ভাবে আহত হয়।

আহত সাংবাদিক মনিরুল একরাম এই প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের একই বাড়ির চিহ্নিত এাস জাহাঙ্গীর গং আমাদের ভোগ দখলীয় জমি নিজেদের দাবি করে বিভিন্ন সময় আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয় এই বিষয়ে আমার ভাই মোশাররফ হোসেন শশীভূষণ থানায় ১৫ জুন নিরাপওা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করায় ক্ষিপ্ত হয় এবং ১৬ জুন বুধবার ভোর প্রায় ৬টায় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাহিরের টয়লেটে গিয়ে বের হলে চিহ্নিত এাস জাহাঙ্গীর (৪৫),কামরুল (২০), জাহানারা বেগম (৪৮),পারুল (৩৫) আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় মোশাররফ ও খোকন আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। স্হানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

হাজারীগন্জ ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গন্যমান্য কয়েকজন ব্যক্তি চরফ্যাশন হাসপাতালে সাংবাদিককে জানান, জাহাঙ্গীর উগ্র ও বর্বর প্রকৃতির লোক, সে ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় সালিস বিচার মানেনা। ইতোপূর্বে আপন বাপ ও চাচাকে মারধর করেছে। কয়েকবার গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। তারপরও সন্ত্রাসী কার্যক্রম হতে ফিরে আসেনি।

হামলাকারী জাহাঙ্গীরের বক্তব্য নিতে চেষ্টা ফোন না রিসিভ করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজে হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই এলাকার লোকজন জাহাঙ্গীরকে হাসপাতালে গণধোলাই দেন। আরও বিক্ষুব্ধ জনগনের গণধোলাইয়ের ভয়ে আজ ১৭ জুন (বৃহস্পতিবার) নাটকীয় ভাবে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সচেতন মহল ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর ও হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে।