ভোলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবীতে প্রতীকী অনশন
মোঃ মিরাজ হোসাইন/ খাঁন আজিম//
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন দৌলতখান শাখার উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দৌলতখান মধ্য বাজার সেলিম চত্বর মহাসড়কে কর্মসূচি পালিত হয়।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন দৌলতখান থানা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ মোকতার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এইচ এম শোয়াইব আহমদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যেহেতু করোনা সমস্যা থেকে এখনো উত্তরণের কোনো সম্ভাবনা নেই,তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হউক। দেশে করোনাও থাকবে, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই যথাযথ স্বাস্থবিধি মেনে করোনাকে মোকাবেলার মাধ্যমেই আমাদের সামনের দিকে এগুতে হবে। কোনোভাবেই থেমে থাকা চলবে না।
সুতরাং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার জন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন দৌলতখান উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবু ইউসুফ, মুজাহিদ কমিটির সম্পাদক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ক্বওমী মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ইকবাল হোসাইন, সহ- সভাপতি হাফেজ মোশাররফ হোসাইন,সাধারন সম্পাদক হাফেজ শোয়াইব, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম আফনান,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইসমাইল প্রমুখ
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্ডার গার্টেন এর জন্য বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ এবং সরকার ঘোষিত ১৩ জুন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা বহাল রাখার দাবীতে সারা দেশের ন্যায় ভোলার লালমোহনে উপজেলা কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রতিকী অনশন অনুুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ জুন ২০২১ ইং বেলা ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত লালমোহন চৌরাস্তার মোড়ে এ অনশন অনুষ্ঠিত হয়। অনশনে লালমোহন উপজেলার সকল কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনশনে থাকা কয়েকজন শিক্ষক বলেন, সরকারকে শিক্ষা খাতে গুনগত শিক্ষার মান উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করছে কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলগুলো। পরে লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুল এসোসিয়েশনের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অনশনকারী শিক্ষকদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, মহামারী করোনার কারনে বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলগুলোর শিক্ষকরা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখারও ব্যাপক ব্যাঘাত হচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলব-কিন্ডার গার্টেন ও প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষকদের জন্য এই বছরের বাজেটে আর্থিক বরাদ্ধ রাখার পাশাপাশি সরকারের পূর্বঘোষিত আগামী ১৩ জুন শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যসুরক্ষা বজায় রেখে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত।