ভোলা দৌলতখানে ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস”র প্রভাবে ৩০ গ্রাম প্লাবিত
এম মিরাজ হোসাইন//
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ র প্রভাবে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভবানীপুর, চরপাতা, সৈয়দপুর, মেদুয়া মদনপুর ও হাজিপুর ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতির স্বীকার হয়েছে হাজীপুর ও মদনপুর ইউনিয়নবাসী। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ হাজার মানুষ। এছাড়াও জোয়ারের পানিতে কৃষকের ফসলি জমি, হাঁস, মুরগী, গবাদি পশু,পুকুরের মাছ ও অর্থনৈতিকভাবে নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন।
আজ বুধবার (২৫শে মে ) ভোর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত দৌলতখান উপজেলার ওই সব ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হারুন মাঝি জানান,গতকালের তুলনায় আজকে অত্যধিক পরিমাণ জোয়ার হয়েছে। আর অধিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারনে আজকে আমার বাসায় দুপুরে রান্না করতে পারি নি। কেননা রান্না করার চুলা টি পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে।
সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জি.এস ভূট্ট তালুকদার জানান, ঘূর্ণিঝড় ” ইয়াস”র প্রভাবে মেঘনা নদীর পানি ব্যাপক পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৬,৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৬শতাধিক ঘর-বাড়ির তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্ধি হয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন প্রায় ২ হাজার মানুষ।
তিনি আরো জানান, ওই গ্রামগুলোর বেশ কয়েকটি পুকুর ও ঘেড়ের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক হাওলাদার দ্বীপ কন্ঠ কে জানান, এই উপকূল অঞ্চলে ভারী বাতাস ও হালকা বৃষ্টি উভয় আছে। তবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অন্তত ৫ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। জোয়ারের পানির তোড়ে দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জোয়ারের পানিতে বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ,সিপিপি,রেডক্রিসেন্ট , ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।