ভোলার চররফ্যাশনে মৃত শিশুর জীবিত গর্ভপাত
![](https://dipkantha.com/wp-content/uploads/2021/04/IMG_06042021_203336_622_x_420_pixel.jpg)
![](https://dipkantha.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
স্টাফ রিপোটটার//
গর্ভের সন্তান মৃত বলে ঘোষণা দিলেন ডাক্তার। তবে নরমাল ডেলিভারীতে জীবিত সন্তান প্রসব করেছেন মা। এমন ঘটনা ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। গত রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন সরকে একটি এম্বুলেন্সে এ সন্তান জন্মদেন নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শরিফের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৩)। ভূক্তভোগী ফাতেমা বেগম ও তাঁর পরিবার অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে প্রসব ব্যথা হলে স্থানীয় ধাত্রী নাজমা বেগম প্রাথমীকভাবে নরমাল প্রসবের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ওই নারীর রক্তক্ষরণ হলে রাতে উপজেলার একটি বেসরকারী ক্লিনিকে কর্মরত ডাক্তার মরিয়ম আক্তার সোনিয়াকে দেখালে তিনি আল্ট্রা করেন। এবং আল্ট্রা রিপোর্ট দেখে প্রেস্কিপসনে “আই,ইউ,ডি” অর্থাৎ “গর্ভের ভিতরে সন্তান মৃত” উল্লেখ করে ওই রোগীকে বরিশাল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তবে বেসরকারী ওই ক্লিনীকে রোগীর আল্ট্রা করলেও আল্ট্রা রিপোর্টে চিকিৎসক সাইন করেননি। রবিবার (৪এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় রোগী ও তাঁর পরিবার চরফ্যাশন উপজেলা সরকারী হাসপাতালে যান। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বেসরকারী ক্লিনীকের ডাক্তার মরিয়ম আক্তার সোনীয়ার রিপোর্ট দেখে রোগীর প্রেস্কিপসনে আই,ইউ,ডি উল্লেখ করে হাসপাতালে ভর্তির অনুমতি দেন। রোগী পরিবারেরর এক স্বজন জানান চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তির পরে প্রসূতি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক হাসপাতালে রোগীর অপারেশন করা সম্ভব না বলে রোগীকে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় স্থানিয়দের কাছ থেকে টাকা পয়সা উঠিয়ে অসহায় ওই রোগীকে এম্বুলেন্সে নিয়ে বরিশালের পথে রওয়ানা হলে হাসপাতাল সরকেই তিনি জিবীত নবজাতক পুত্র সন্তান প্রসব করেন। এসময় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ওই রোগীকে ভর্তি করে তার পরিবার। এ বিষয়ে ডাক্তার মরিয়ম আক্তার সোনিয়া সঠিক তথ্য গোপনের উদ্দেশ্যে সংবাদকর্মীদের কাছে নানানভাবে তথ্য উপস্থাপন করে। এছাড়াও “আই,ইউ,ডি’র অপব্যাক্ষা দিয়ে বলেন, আল্ট্রায় গর্ভের শিশুর হার্ট বিট না থাকায় আই,ইউ,ডি উল্লেখ করে দ্বিতীয়বার দেখার জন্য বরিশাল রেফার্ড করা হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শোভন বোশাক বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন,বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।