ভো্লার দৌলতখানে মেঘনায় জব্দকৃত জাল বিক্রি হয় মৎবিভাগের গোপনীয়তায়

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১

দৌলতখান প্রতিনিধি//

ভোলার দৌলতখানের মেঘনায় নদীতে নিষিদ্ধ সময় প্রশাসনের অভিযানের মধ্যেও পাড়া-মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। মৎস্য বিভাগের অভিযান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন? জব্দকৃত জাল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে গোপনে। অভিযানে আটক জেলেদেরও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে নিয়ম ছাড়াই। মৎস্য বিভাগের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের বিষয়ে অবগত আছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা।

জানা গেছে, সর্বশেষ গত শনিবার একটি ট্রলার ও স্পিডবোট যোগে দৌলতখানের মেঘনায় ইলিশ রক্ষা অভিযানে নামে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। ঐ দিন ২১ জেলে, তিনটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়। রাতে অভিযানে জব্দকৃত জাল গোপনে বিক্রির অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, শনিবার মৎস্য দপ্তরের অভিযানে জব্দকৃত জাল অভিযানে ব্যবহৃত ট্রলারের দুই মাঝি তসির ও মনির গোপনে বিক্রি করছিলেন। এ সময় তারা স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে তসির ও মনির জাল ফেলে পালিয়ে যান। মৎস্য দপ্তরের যোগসাজসে তসির ও মনির জালগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে গোপনে ট্রলারে রেখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তারা। ঘটনাটি স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানান। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) আমির হোসেন জানান, ঐ দিন (গত শনিবার) মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে জেলে, জাল ও ট্রলার জব্দ করা হয়। ট্রলারে জাল লুকিয়ে রাখার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। এ ছাড়া, অভিযানে আটক জেলেদের নিয়ম কানুন ছাড়াই ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. কাউছার হোসেন বলেন, ‘মৎস্য দপ্তরের এ অনিয়মের দায়ভার উপজেলা প্রশাসন গ্রহণ করবেন না। ইতোমধ্যে মেঘনায় অভিযান পরিচালনার সময় নদীতে আটক জেলে ও নৌকা ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আমরা মৎস্য দপ্তরকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তাদের দায়ভার আমরা নেব না।’