ভোলার চরফ্যাশন হাসপাতলে দালালে ছয়লাভ, নির্মূলে কমিটি গঠন

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২১

এম লোকমান হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতর এবং বাহিরে দালালে ছয়লাভ। মুষ্টিময় কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের ছত্রছায়ায় এ দালাল চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ রোগীদের বিপুল পরিমাণের অর্থ। নারী দালাল টেনে হেচড়ে নিয়ে যাচ্ছে রুগীর স্বজনদের। চরফ্যাসনের চিকিৎসা সেবা থেকে এসব দালাল নির্মূলের লক্ষ্যে চরফ্যাসন উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি গঠন করেছেন “দালাল নির্মূল কমিটি”। সেন্টাল ইউনাইটেড হাসপাতালে এক জরুরি সভার আয়োজন করেন। সভায় সেন্ট্রাল ইউনাইটেড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাতকে আহবায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়। জরুরি সভায় চরফ্যাসন উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাজাহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মিলিটারি, সহ-সভাপতি বাবুল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লাতে এলাহী, সেন্ট্রাল ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত, শরন মজুমদার সহ প্রায় ১৫টি প্রতিষ্ঠানের মালিক উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপস্থিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকগণ অভিযোগ করে বলেন, চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা খাতকে মুষ্টিময় গুটিকয়েক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকের ছত্রছায়ায় দালাল নিয়োগের মাধ্যমে নষ্ট করা হচ্ছে। ওদের অপকর্ম এবং রোগি টানাটানির কারনে আজ আমাদের সকল মালিকের দুর্নাম হচ্ছে। এখনি সে সকল নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। লাইফ কেয়ার, রোশন আরা এবং বিসমিল্লাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এক সময়ের দালাল চক্রের প্রধানগণ ভাড়া নিয়ে এখন তাদের দালাল সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধি করে পুরো চরফ্যাসন কে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। দালাল যখন মালিক সাজে তখন তারা মানসম্মানের চিন্তা করে না। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি এবং চিহ্নিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।