জাতীর পিতার ভাষ্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা উচিত নয়- তোফায়েল আহমেদ এমপি

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২০

ইউনুছ শরীফ//

 

 

পৃথিবীবর সকল মুসলিম দেশে ভাষ্কর্য রয়েছে। প্রথম বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, মালেশিয়া, তুরস্ক, তিউনেশিয়া, সিরিয়া, বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ভাষ্কর্য রয়েছে। বাঙগালী জাতীর পিতা বাঙ্গালীর মনের  মনিকোঠায় রয়েছে। দেশ ও মাটি যতদিন থাকবে ততদিন জাতীর পিতা বাঙ্গালীর অন্তরে থাকবে। জাতীর পিতাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা এটা কোন যুক্তিযুক্ত কাজ নয়। অনেক অন্যায় কাজ হয় সেটা নিয়েতো তারা সোচ্চার হয়না? আজ ভোলা জেলা প্রশাসন ও গনপূর্ত বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের হলরুমে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্ভোধন ও জেলা মডেল মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি এসব কথা বলেন।

 

 

তিনি বিরোধীতা কারীদের উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আজকে দেশ মহামারিতে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। এটা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা রেখে আরো অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোন কিছু নিয়ে সোচ্ছার না হয়ে ভাষ্কর্য নিয়ে সোচ্চার হওয়া উচিত নয়। বিজয়ের মাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, মনে রাখবেন বিজয়ের আনন্দ ক্ষনস্থায়ী। আর পারজয়ের গ্লানী চিরস্থায়। আমরা ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় পেয়েছি। তা ভুলে গেছি। কিন্তু যার পারজিত হয়েছে তারা ভুলে নাই। তারা মনে রেখেছে। যার কারনে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবার হত্যা করেছে। নিঃস্পাপ রাসেলকেও তারা রেহাই করেনি। ভাগ্যক্রমে বেঁচ গেছের প্রধানমন্ত্রী। অনেকবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর পতাকা শক্ত করে ধরে রেখেছেন। যার কারনে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র। দেশের উন্নয়নের কারনেই আজ আমি ঢাকা থেকে ভোলায় আপনাদের সাথে কথা বলতে পেরেছি। এটা প্রধানমন্ত্রীর’ই অবদান। ভোলার গ্রাম শহরের মতো মনে হয়। চড়ের মধ্যেও বিদ্যুৎ রয়েছে। ইতিপূর্বে ভোলায় অনেক মন্ত্রী ছিল কই তারাতো ভোলার উন্নয়ন করেনী। আমি ভোলাকে নিয়ে গর্ভ করি। আমার জন্ম ভোলায়। ভোলায় কি না হয়? তরমুজ থেকে শুরু কেও সবই হয়। ভোলা বরিশাল ব্রীজ হলে আরো উন্নত হবে। ভোলার একটি মানুষও না খেয়ে থাকবেনা। চড়ের জমি ভূমিহীনদের দেয়া হবে। একটি কু-চক্রী মহল জাল দলীল করে মামলা করে দখলের পায়তারা করছে। এব্যাপারে প্রশাসনকে দৃষ্টি রাখতে হবে। আজ পদ্মাসেতু হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেই আমরা এ সেতু দিয়ে যোগাযোগ করতে পারবো। এসব উন্নয়ন করা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। যা বাস্তবায়ন করছে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাছিনা।  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওযামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোমিন টুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ, ডেপুটি কমান্ডার সফিকুল ইসলাম, গনপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরীফসহ প্রশাসন ও জেলার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।