মুক্তিযুদ্ধে সহযোগীতা কারীরাও মুক্তিযোদ্ধা – চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, ভোলা।
![](https://dipkantha.com/wp-content/uploads/2020/12/000000000000.jpg)
![](https://dipkantha.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ইউনুছ শরীফ/
১০ ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে ভোলার আবাল, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ, ছাত্র, যুবকসহ সর্বমূখী বীর মুক্তি যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। এ যুদ্ধে কুলি মজুর থেকে শুরু করে অংশ গ্রহনকারী বা সহযোগীতা কারী সবাই আমার দৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধ।
১৯৭১ সালের ঘটানর স্মৃতি চারন করতে গিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষেদের চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন যুুবমুক্তি বাহিনীর নেতা আবদুল মোমিন টুলু বলেন, ১৯৭১ সালে আমি ইন্টার মিডিয়েটের ছাত্র। আমার বয়স ১৯ বছর। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনের পর আমরা ছাত্র-জনতা মিলে ভোলায় যুবমুক্তি বাহিনী গঠন করি। পরবর্তীতে যখন মুক্তিবাহিনী ভোলায় আসে তখন আমরা ভোলা শহর ছেড়ে দিয়ে আসপাশের থানায় গিয়ে অবস্থান নেই এবং সেখানে মুক্তিবাহিনী নামে আাবারও সংগঠন তৈরী করি। সেখান থেকেই তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকি। ৮ ডিসেম্বর আমরা একযোগে ভোলা এসে পাকিস্তানী বাহিনীকে কডন করে রাখি। এক পর্যায়ে যখন তারা বুজতে পারে দেশ স্বাধীন হয়ে যাবে এবং মুক্তি বাহিনীর লোকের তাদেরকে মেরে ফেলবে তখন তারা ৯ তারিখ রাত সাড়ে তিনটার দিকে সবাই গান বোর্ট নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পালাতে থাকে। আমরা এখবর পেয়ে আমাদের কমান্ডার মরহুম জয়নাল আবদীন গাজির নির্দেশে ভোলা আলীয়া মাদ্রাসার পেছন দিয়ে গরুহাটা নামক স্থান দিয়ে এক যোগে আাক্রমন করি। কিন্তু তাদের ভাড়ি অস্ত্র এস এম জি, এল এম জি’র কাছে আমাদের থ্রি নট থ্রি রাইফেলের গুলি তাদের লক্ষভ্রষ্ট ছেদ করতে পারে নাই। তার পরও তাদের ধাওয়া করতে করতে আমরা বাঘমারা পর্যন্ত যাই। তারা গুলি করতে করেতে ভোলা খাল দিয়ে যখন নদীতে চলে যায়। তাদের না দেখতে পেয়ে আমরা চলে আসি। তখর ১০ ডিসেম্বর ভোর। আমারা ভোলা এসে ভোলা মুক্ত ঘোষনা করি। আমি মনে করি সে দিন এ যুদ্ধে কুলি মজুর থেকে শুরু করে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সবাই মুক্তিযোদ্ধা। কারন আমরা অস্ত্রনিয়ে যুদ্ধ করেছি তারা অস্ত্রনিয়ে যুদ্ধ না করলেও তারা আমাদের খাল, বিল, গ্রাম সর্ব যায়গায় আমাদের সহযোগীতা করেছে। কেউ খাবার দিয়ে সাহায্য করেছে। কেউ বিশেষ সময় পালাতে সাহায্য করেছে। কেউ পানি দিয়ে সাহায্য করেছে। কেউ বর্বর বাহিনীর অবস্থান জানিয়ে সাহায্য করেছে। এমেন অবস্থাও হতে পারতো তারা সাহায্য না করলে আমরা আমাদের লক্ষে পৌছতে পারতামনা। সে কারনে এসব সাহায্য সহযোগীতাকারী সবাই আমার দৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধা।