ভোলায় ছাত্রলীগের সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহার, একমাত্র বোনর সংবাদ সম্মেলন
বক্তব্যে পাপিয়া বলেন, আমার বাবা ২০১৬ সালে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর নিয়ম অনুযায়ী মা, ভাই, আমি তিনজন ওয়ারিশসুত্রে বাবার সম্পত্তির মালিক। কিন্তু ভাই পাপান চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহার করে গোপনে ভুয়া ওয়ারিশ সনদ করে সব সম্পত্তি নিজের নামে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সংবাদ পেয়ে আমি ভোলা-১, সাংসদ তোফায়েল আহমেদেকে জানাই। তার নির্দেশ মোতাবেক জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে আমার সম্পত্তি গত (৩০ অক্টোবর) আমার নামে নামজারি করে দেয়। এ সংবাদ শুনে পাপন চৌধুরী আমার শহরের কালীবাড়ী রোড বাসায় গিয়ে লোকজন নিয়ে আমাকে মারধর করে এবং ৫৫ হাজার টাকা, গলার ১ ভরির চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমার স্বামী, সন্তানসহ সবাইকে হুমকী দিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি ভোলা সদর থানায় মামলা করি। মামলা নং জিআর ৬৪৬/১। তারিখ ০১.১১.২০ইং।
পাপিয়া আরো বলেন, দীর্ঘ তিন বছর ধরে পাপন চৌধুরী আমার ওপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন করছে। যা মায়ের অনুরোধে কাউকে জানাতে পারি নাই। সে এখন আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যাতে আমি আমার সম্পত্তিতে না যাই। এতে আমি, স্বামী একমাত্র শিশু সন্তান সাফওয়ানকে নিয়ে মারাত্তেত্নক ভাবে হুমকীর মধ্যে আছি। ক্ষমতার অপব্যববহার কারী এধরনের লোককে দল থেকে বহিস্কার করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য সাংসদ তোফায়েল আহমেদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানান পাপিয়া চৌধুরী।
এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংশার চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট ভোলা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাইনুল ইসলাম শামীম বলেন, পৌরসভা থেকে কোন ভূয়া ওয়ারিশ সনদ দেয়া হয়নী। এব্যাপারে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।