বাজার নিয়ন্ত্রণে ১১ প্রস্তাব – সৈয়দ মহিউদ্দিন
১. সারা বাংলাদেশের জন্য একটি বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করা হবে যারা হেড অফিসের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবে।
২. কমিশনের অধীনে সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি থানায় তিন সদস্যের একটি কমিটি থাকবে।
৩. পাইকারি মার্কেটের কমিটি গুলো কমিশনের নির্দেশে ক্রমে প্রত্যেকটি পাইকারি বাজারের প্রতিদিন কৃষক থেকে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত প্রত্যেকের বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দেবে।
৪. উপজেলা কমিটি নির্ধারিত মূল্যে মালামাল বিক্রি হচ্ছে কিনা তা প্রতিদিন তদারকি করবে।
৫. প্রত্যেকটি পন্যের মূল্য তালিকা দেখার জন্য একটি অ্যাপস তৈরি করা হবে ।
৬. সকল পণ্যের প্রতিদিনের মূল্য তালিকা প্রতিদিন ওই অ্যাপসে আপলোড করা হবে।
৭. আমদানিকৃত বা রপ্তানি পণ্যের এলসির মুল্য তালিকার একটি কপি প্রতিদিন ওই অ্যাপসের মাধ্যমে হেড অফিসে প্রেরন করা হবে ।
৮. এলসির মূল্য তালিকা দেখে প্রতিদিন হেড অফিসের কমিশন ওই পণ্যের আমদানি মূল্যের উপর কত টাকা পাইকার লাভ করে বিক্রয় করবে তার মূল্য নির্ধারণ করে দেবে।
৯. এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা কত টাকায় লাভে বিক্রি করবে তার মূল্য ও কমিশন নির্ধারণ করে দিবে।
১০. কোন দোকানদার যদি মূল্য তালিকা থেকেও বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রয় করে ভোক্তা উক্ত দোকানের সামনের দাঁড়িয়ে অ্যাপস এর মাধ্যমে তার নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করবে।
১১. নিকটস্থ থানা তাৎক্ষণিক ঐ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ কোনভাবেই সম্ভব হবে না।
সৈয়দ মহিউদ্দিন
সহকারী অধ্যাপক ইংরেজি
গজারিয়ায় ডিগ্রি মাদ্রাসা
লালমোহন, ভোলা।।