ভোলায় ত্রাসনেত্রী রিপনী’র বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

DipKantha
DipKantha
প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২৪

মোঃ ওমর ফারুক ॥

ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার ভাই এবং দেহ ব্যবসায়ী এক নারীর বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকালে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের নতুন হাট নামক বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আসা স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাদক ও নারী ব্যবসায়ি, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী রিপা বেগম ওরফে রিপনী বেগম ভোলার আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার ভাতিজা চেয়ারম্যান স্বপন ও তার ভাই মিলনের ছত্রছায়ায় দির্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের উপর নানা অত্যাচার অবিচার চালিয়ে অতিষ্ঠ করে তুলেছে স্থানীয়দেরকে। এ সব অপকর্ম করে প্রাসাদ তৈরী করে চালিয়েছে রাম রাজত্ব।
মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ আদায় করা, জাগা-জমি দখল করা, বিভিন্ন এলাকা থেকে সুন্দরী মেয়েদেরকে চাকুরী দেয়ার নাম করে এনে নিজ বাড়িতে রেখে নেতাদের ভোগ বিলাস করিয়ে অর্থ উপার্জন করা। এমনকি প্রতি রাতে তার বাসায়  সুন্দরী নারীদের দ্বারা অসামাজিক কার্যকলাপের আসর বসানোসহ মাদক  ব্যবসার অভিযোগ করেন তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে  দির্ঘদিন ক্ষোভ বিরাজ করলেও নেতাদের ভয়ে মূখ খুলতে সাহস পায়নি এলাকাবাসী।
অবশেষে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রিপনি বেগম সহ আওয়ামী প্রভাবশালী নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেছে এলাকার মানুষ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে বিচার দাবী করেছে তারা।
মানববন্ধনে আসা ভূক্তভোগী মোখলেছ বয়াতি (৭০), ২নং ওয়ার্ডের সফিজল, রবিউল (৩৫), মোঃ আক্তার (৩৫), জানান, রিপনী বেগম তার বড় ভাই দাইমদ্দি বয়াতি (৭২) এর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তার কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা আদায় করে। সে ২০২০ সালে এলাকার খোরশেদ আলম হোনার (৭৫) বৃদ্ধা জমির ধান কাটতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করলে সে মৃত্যু বরন করে। এ ঘটনায় মামলা করতে দেয়নি তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা মিলন। ২০২১ সালে তুচ্ছ ঘটনায় খোকন নামের একজনকে দিয়ে বরিশাল সেবাচিম থেকে ভূয়া সার্টিফিকেট এনে চেয়ারম্যান স্বপন ও তার ভাই মিলনের ক্ষমতা দিয়ে স্থানীয় ২৫ জন নিরীহ ব্যক্তির নামে লুট ও ছিনতাইয়ের মিথ্যা মামলা দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা আদায় করে। ২০২৪ সালের স্থানীয় রাকিবের স্ত্রী হাফছা বেগমকে দিয়ে চেয়ারম্যান স্বপনের পরিষদে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে রাকিবের কাছ থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে নেয়। অনতিবিলম্বে এসব অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন মানববন্ধনকারীরা।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুল হাসান মিলন বলেন, এসবের সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মহিলাটা খারাপ জানতাম। সে এলাকার মেম্বার পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলো। আমরা তাকে সহায়তা করিনি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল আলম স্বপন ও অভিযুক্ত রিপা বেগম ওরফে রিপনীকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি, বিধায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।